শামীম আহমেদ, পটুয়াখালী ॥ পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নের পারকার্তিকপাশা গ্রামের মৃত মজিদ ফকিরের ছেলে আঃ রব ফকিরের প্রতারণায় দিশেহারা এলাকাবাসী। পেশায় পাহারাদার কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস কিন্তু এলাকায় অফিস সহকারী পরিচয়ে দাপটের সাথে চলাফেরা এবং বিভিন্ন বিষয় প্রতারণার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বটে। বিগতদিনে এলাকায় দাপটের কারনে বেশকিছু মামলায় জরিয়ে গেলেও অদৃশ্য কারনে কৌশলগত বিষয় পারদর্শী হওয়ায় মামলাগুলো থেকে রেহাই পেয়ে যায়। এমনই একটি মামলায় সদ্য তাকে অব্যাহতি দেয়াহয় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পি বি আই) পটুয়াখালীর আওতায় থাকা একটি মামলায়। মামলার নথি ও স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানাগেছে যে,অভিযুক্ত আঃ রব ফকির একজন ধুরন্ধর মিথ্যাশ্রয়ী ও অভিনব প্রতারক বটে। জাল দলিল করে অন্যের জমি জবরদখল করতে গেলে গত ২ রা ফেব্রুয়ারিতে বাদী আবু মুছার বাড়ীতে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে জমি জবরদখল করার চেষ্টা করলে বাধা দেয় অত্র জমির মূল মালিকগণ, তখন আঃ রব ফকিরসহ তাদের লোকজন মুছাদের উপর ঝাপিয়ে পরে অতর্কিতে হামলা চালায়, হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতরা পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে আঃ রব ফকিরকে প্রধান আসামীসহ ৬ জনকে বিবাদী করে একটি মামলা করেন। মামলার তদন্ত ভার পটুয়াখালী পি বি আইকে দেয়া হলেও শেখানে তদন্ত কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে কৌশলে আঃ রব তার নাম বাদ দিতে সফল হয়। উক্ত মামলার ( সি আর মামলা নং ১২৫/২০২০) প্রধান আসামীকে বাদ দেয়ায় হতাশ মামলার বাদী আবু মুছা। তিনি বলেন আঃ রব তদন্ত কর্মকর্তাকে টাকা খাইয়ে নিজের নাম বাদ দিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে, এবং জনমনে আতংক বিরাজ করছে এবং বাদী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশংকা প্রকাশকরে বলেন, ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালতের সরনাপন্ন হওয়ার পরও তদন্ত কর্মকর্তার কারনে আমি ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। এ বিষয় কোন পদক্ষেপ নিবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আবু মুছা বলেন, মামলার তদন্ত ভার পি বি আইর এস আই এইচ এম আব্দুর রউফকে দেয়া হয়, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার আলামত সহ প্রয়োজনীয় সাক্ষী প্রমান সংগ্রহ করলেও তদন্ত প্রতিবেদন ভিন্ন দাখিল করেন,কিন্তু কেন এমনটা করছে এমন প্রশ্নের জবাবে আবু মুছা বলেন হয়ত প্রতিপক্ষের টাকা খেয়ে মিথ্যা বানোয়াট মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেন যা সত্য ঘটনাকে আড়াল করে ন্যায় বিচার থেকে আমাকে বঞ্চিত করার সামিল, আমি অবশ্যই এ বিষয় আদালতের সরনাপন্ন হয়ে পূণ তদন্ত সহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিবো। এ বিষয় জানতে তদন্ত কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এদিকে প্রতারক আঃ রব ফকির তার পিতার নামে একটি জাল দলিল তৈরি করে মুছা গংদের জমি জবরদখলের চেষ্টা করলে এলাকায় একাধিক সালিশ বৈঠক হলে রব ফকির একটি দলিল পেশ করেন জার নং ৬৮৭০ তাং ০১/০৬/৬১ সন। এর সুত্র ধরে জেলা সাবরেজিস্টার অফিসে খুজতে গেলে দেখা যায় ঐ নাম্বারে র দলিলের দাতা গৃহীতার নামের সাথে কোন প্রকার মিল নেই। এবং বিষয়টি ভূয়া প্রমানিত হয়, উল্লেখ্য আঃ রব ফকির ইতিমধ্যে তার নামের পদবী ফকির থেকে হাওলাদার বানিয়ে মিথ্যা পরিচয় সরকারি চাকরি করে আসছে। এ সকল বিষয় জানতে আঃ রব ফকিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী এহেন ও কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সত্য উদঘাটন করে এমন প্রতারকের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির দাবী জানান, এবং জমি সংক্রান্ত বিরোধ পূর্ণ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে ন্যায় বিচার আসাকরেন।
Leave a Reply